• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৪:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম

কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ তৈরি ও বিনামূল্যে দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর 

কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ তৈরি ও বিনামূল্যে দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর 
জাতীয় লেপ্রেসি সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি : পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা দিতে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরি এবং বিনামূল্যে বিতরণ করার জন্য স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় লেপ্রেসি সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন। রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কুষ্ঠ একটি প্রাচীন সংক্রামক চর্মরোগ। বর্তমানে বিশ্বে ১৩২টি দেশে এই রোগে আক্রান্ত রোগী আছে, যার ৭১ শতাংশই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এই রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭২৯ জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করে এবং তাদের ওষুধের মান খুবই ভাল। তাই আমি তাদেরকে বিশেষায়িত ওষুধ তৈরী করার জন্য অনুরোধ জানাতে চাই যা কুষ্ঠ রোগীদের জন্য দরকার। এসব ওষুধ রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করার ব্যবস্থা করুন যা দ্রুত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় কুষ্ঠ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, এ লক্ষ্যে আমরা যদি আন্তরিকভাবে কাজ করি, তাহলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের অনেক আগেই কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হব।

কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে সমাজের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুষ্ঠ রোগীদের সঙ্গে আচরণ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি লোকজনকে বলতে চাই যে, তারা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাই, তাদেরকে দূরে ঠেলে দেয়া সঠিক নয়। কোনো ব্যক্তির দেহে কুষ্ঠ রোগ সনাক্ত হলে, আপনাদেরকে সহানুভূতির সঙ্গে তার সঙ্গে আচরণ করতে হবে এবং তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই লক্ষ্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি খুবই জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক পর্যায়ে কুষ্ঠ রোগীদের দেহে রোগটি সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগের কারণে প্রতিবন্ধী লোকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প নেই। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চাকরি থেকে অবশ্যই বাদ দেয়া যাবে না, বরং প্রতিবন্ধী লোকের জন্য একটি অনুকূল কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ডব্লিওএইচও গুডউইল অ্যাম্বাসেডর ইওহেই সাসাকাওয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। কুষ্ঠ রোগ ও এর চিকিৎসার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্য চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। সূত্র : বাসস

এফসি

আরও পড়ুন