• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৫:১০ পিএম

ভারতের নাগরিকত্ব বিল

‘নিরাপত্তার আশায় সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগে উৎসাহিত হতে পারে’

‘নিরাপত্তার আশায় সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগে উৎসাহিত হতে পারে’

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেছেন, ভারতের নাগরিকত্ব বিল পাশের পর এ বিল আইনে পরিণত হলে তা অধিকতর নিরাপত্তার আশায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগে উৎসাহিত করতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত হতে পারে। অন্যদিকে, ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সংখ্যালঘুদের জীবন, পরিবার ও সম্পদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যারা তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছে, এ বিল আইনে পরিণত হলে তা তাদের সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, নিপীড়ন, ভূমি দখল, ধর্মান্তরকরণ ইত্যাদি অব্যাহত রেখে সংখ্যালঘুদের দেশছাড়া করার জন্যে এবং বাংলাদেশকে এক ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার তাদের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্যে অধিকতর উৎসাহিত করবে।

ভারতীয় লোকসভা ও রাজ্যসভায় গৃহীত নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিলোপ করে পরবর্তীতে ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে সংযোজনের মধ্য দিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিসত্বাকে বিভাজিত করা হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে রাষ্ট্রীয়করণ করে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগ কম-বেশি অব্যাহত আছে। নানা ক্ষেত্রে ধর্মীয় বৈষম্য এখনো বহুলাংশে বিদ্যমান। সাম্প্রদায়িক নির্যাতন নিপীড়নও অব্যাহত আছে। বহুত্ববাদী সমাজ থেকে বাংলাদেশ ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। এ সব সমস্যার মৌল সমাধান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে নিহিত রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ঘোষিত অভিপ্রায়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার দেশের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় উত্থাপন করেছিলেন যা রাজ্যসভায়ও পাস হয়েছে তাতে কার্যত বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ কতখানি রক্ষিত হবে তা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে বলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মনে করে।
 
ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, জেএল ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, মঞ্জু ধর, মণীন্দ্র কুমার নাথ, অ্যাডভোকেট তাপস পাল, অ্যাডভোকেট. কিশোর মণ্ডল, রবীন বসু, অ্যাডভোকেট দিপংকর ঘোষ, পদ্মাবতী দেবী, চন্দন বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন