• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:১২ পিএম

বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত

বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন জাতিসংঘে গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত -ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে উত্থাপন করা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। 

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা রেজুলেশনটি উপস্থাপন করেন। তিনি বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়ন এবং শান্তির সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তার প্রথমবারের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন ৫৩/২৪৩ অর্থাৎ এ শান্তির সংস্কৃতি রেজুলেশনটি গ্রহণ করে। সেই থেকে শুরু করে প্রতিবছর বাংলাদেশ এই রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে এবং যা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং তার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে ‘জনকেন্দ্রিক উন্নয়ন কৌশল’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন ৫৩/২৪৩ অর্থাৎ এ শান্তির সংস্কৃতি রেজুলেশনটি গ্রহণ করে। সেই থেকে শুরু করে প্রতিবছর বাংলাদেশ এই রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে এবং যা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে

...........................

এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতি রেজুলেশনের ২০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এটি টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ এর পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন‌্য শান্তির সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। শান্তির সংস্কৃতি এমনই একটি ব্যাপক-ভিত্তিক ধারণা, যা এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন পরবর্তী সময়েও শান্তির বার্তাকে শক্তিশালী করতে সমভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, সামনের বছরে, বিশেষ করে জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তিসহ ‘বেইজিং+২৫’ বার্ষিকী এবং ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ এজেন্ডার ২০ বছরপূর্তি উদযাপন শান্তির সংস্কৃতি ধারণাকে আরো কার্যকরভাবে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে।

এবারের রেজুলেশনটি গ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তির সংস্কৃতির ২০ বছরপূর্তি উদযাপনকেই শুধু স্বাগত জানায়নি বরং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও এজেন্ডা ২০৩০ এর পূর্ণ বাস্তবায়নে এর প্রয়োজনীয়তাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে।

রেজুলেশনটিতে সমসাময়িক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘের কাজের তিনটি স্তম্ভের প্রতিটিতেই শান্তির সংস্কৃতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশ বাংলাদেশের এ রেজুলেশন কো-স্পন্সর করেছে, যা এ যাবৎকালের মধ‌্যে সর্বোচ্চ। এ সমর্থন বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের প্রতি বিশ্ববাসীর গভীর আস্থারই বহির্প্রকাশ।

এসএমএম

আরও পড়ুন