বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪০ হাজার নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) দেয়া হবে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে দেশের ৫১৯টি এলাকায় ইতোমধ্যে স্মার্টকার্ড পৌঁছে গেছে বলেও জানান তিনি।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মুক্তিযোদ্ধদের সম্মান জানানোর জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্রটি তুলে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করেছেন। যারা পাননি, তাদেরই আমরা দিচ্ছি। তবে যারা সোমবারের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না, সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্ড দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, মোট কত সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা এই কার্ড পাচ্ছেন, তা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা ৪০ হাজার স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করেছি। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তালিকা মোতাবেকই আমরা স্মার্টকার্ড সরবরাহ করবো।

এর আগে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতেই পরবর্তীকালে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এ তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা। ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।

এইচএস/টিএফ