• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২০, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম

শীতে লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ

শীতে লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ
প্রচণ্ড শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

লক্ষ্মীপুরে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। প্রচণ্ড শীতে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত তিন দিনে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগ, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।

একই অবস্থা জেলার কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। বর্তমানে এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আছেন ১২০ জন। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সেবিকা সংকটে থাকা সব কটি হাসপাতালেই অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেক রোগীকে বেড দিতে না পেরে বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতে বেড সংকটে  চিকিৎসা নেয়া শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও পড়েছেন নানা ভোগান্তিতে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা আসছে। জরুরি বিভাগে দৈনিক চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ২৫-৩০ জন শিশু। গত তিন দিনে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে প্রায় ৫০ জন। এদিকে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এর পরও অনেক শিশুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে মেঝেতে রেখে। এতে রোগীর পাশাপাশি স্বজনদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদরের উত্তর টুমচর গ্রামের মো. রাশেদের চার বছরের শিশু সিফাত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। একই সময়ে মান্দারী ইউনিয়নের গন্তর্ব্যপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের নয় মাসের শিশুসন্তান মারুফ ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের হারুনের তিন মাসের শিশুসন্তান সামিয়াও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল হাসান জানান, ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। দৈনিক ২৫-৩০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সেবা নিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল গফফার জানান, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতালগুলোতে নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি ৪৭ জন সহকারী সার্জন নিয়োগ দেয়ায় সেবা দিতে তেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন