• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২০, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ৮ নারী

হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল রংপুরের জনজীবন

হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল রংপুরের জনজীবন
ছবি সংগৃহীত

সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কাছাকাছি নেমে আসায় গত দুই দিন ধরে রংপুর অঞ্চলে শীত যেন মরণ কামড় দিয়েছে এবার। হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে নদীতীরবর্তী মানুষজন, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী এবং দরিদ্র শ্রেণির মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় এ অঞ্চলে ঘন কুয়াশার সঙ্গে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

এদিকে তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে দরিদ্র মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ৩৬ ঘণ্টায় বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৮ নারী। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বর্তমানে তারা রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ছটফট করছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্র জানিয়েছে, গত দুই বছরে শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে ৪৮ নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

হিমালয়ের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় কাহিল এখানকার জনজীবন। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কাছাকাছি নেমে আসায় শীতের তীব্রতা অনেক বেড়ে গেছে। 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যায় পুরো রংপুর অঞ্চল। এ সময় নগরী অনেকটাই মানবশূন্য হয়ে পড়ে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। এ অবস্থা ছিল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত। যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তিন দিন ধরে আকাশে রোদের দেখা নেই। এতেও বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। তারা কাপড়চোপড় শুকাতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুনে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হালিমা খাতুন (৫৫) নামের পীরগঞ্জের এক নারী। পা থেকে কোমর পর্যন্ত পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে দ্রুত ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এদিকে শীত মোকাবিলায় রংপুর বিভাগে আরও ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার কর্মকর্তারা। এছাড়া দরিদ্র মানুষের শীত নিবারণ করতে মহল্লায় মহল্লায় গড়ে তোলা হয়েছে মানবতার দেয়াল। সেখানে যে যা পারছেন তাদের অব্যবহৃত গরম কাপড় টাঙিয়ে রেখে যাচ্ছেন এবং দরিদ্র মানুষ তা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানায়, এই অবস্থা চলবে অন্তত আরো দুই দিন।

এনআই

আরও পড়ুন