• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৫:০১ পিএম

সিটি করপোরেশন নির্বাচন

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাবিথ ও ইশরাক

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাবিথ ও ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন - ছবি : জাগরণ

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা সিটি উত্তর ও দক্ষিণে মেয়র পদে নিজেদের মনোনয়ন পত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন বিএনপি দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরের পর পর উত্তরে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ। বিকাল ৩টার দিকে গোপীবাগে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ইশরাক। 

মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় তাবিথের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। অপরদিকে ইশরাকের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গত নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং ইশরাকের বাবা প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার অনুগত সহকর্মী বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম। 

মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তাবিথ আউয়াল বলেন, গতবার মাঝপথে বর্জন করলেও এবার নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এর প্রতিবাদে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছিলাম শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার জন্য। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আমরা শেষ পর্যন্ত থাকব এবং নির্বাচনের শেষটা দেখে নেব।

তাবিথ বলেন, গত মেয়র নির্বাচনের পরও অনেক নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনগুলোয় আমরা শেষ পর্যন্ত ছিলাম। মাঠে থাকা অবস্থায় আমরা অনেকগুলো অভিযোগ করেছিলাম। সেগুলোর কোনোটি আমলে নেয়া ও তদন্ত করা হয়নি। গত একাদশ সংসদ নির্বাচন যেটা ২৯ এবং ৩০ ডিসেম্বর হয়েছিল সেখানে আমরা শেষ পর্যন্ত ছিলাম। সেখানে তো ভোট হয়নি, তাই গণনার দরকার হয়নি। সুষ্ঠু হবে না জেনেও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা রেখে আমরা চেষ্টা করেছি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য।

ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ বলেন, শুধু আমাদের নয়, জনগণেরও নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসনের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তবে আমরা নিজেদের এবং জনগণের প্রতি আস্থা রেখে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ, জনগণ বারবার বিএনপিকে ভোট দিতে চেয়েছিল। সেই জনগণকে নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তারপরও আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় কি না তা নিয়েও সন্দিহান তিনি।

তাবিথ আউয়াল বলেন, সন্দেহ শুধু আমাদের একার নয়, জনগণও এ সন্দেহ করছেন। জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন কি না, আর ভোট দিতে পারলেও তা ঠিকভাবে গণনা করা হবে কি না- জনগণের এ সন্দেহ আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা আরও বলেছি, অতীতে একটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, সেই বিতর্ক আর না বাড়িয়ে ইভিএম যাতে এ নির্বাচনে ব্যবহার করা না হয়। কারণ, ইভিএম নিয়ে অনেক বিতর্কের সুযোগ আছে।

প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত পাওয়ার জন্য বিএনপিকে ভোট দেবে। তারা ভয়-ভীতির মধ্যে রয়েছে। তারা মুক্তি চায়। ভোটের অধিকার ফেরত চায়। জনগণ বিশ্বাস করে, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জনগণ বিএনপিকে অর্থাৎ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

মনোনয়ন দাখিল শেষে ইশরাক হোসেন বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি জোটবদ্ধ হয়েছে। সারা দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই। দেশবাসী ও নগরবাসী সকলে মিলে আমরা এর মোকাবিলা করব। বিজয় আমাদের নিশ্চিত, ‘ইনশাল্লাহ’। বিজয় আমাদের থেকে কেউ নিতে পারবে না। আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব এবার।

নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, এটা বলার এখনও সময় আসেনি। আরও কিছুদিন পর বলতে পারব, সরকার দলের ভূমিকা কী হচ্ছে- তা দেখে।

অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক আরও বলেন, উন্নয়নের এই যে একটি ধোয়া উঠেছে। আমরা উচ্চশিক্ষিত, আমরা জানি এই নগরকে কীভাবে উন্নয়ন করতে হয়। যে টাকা গত ১২ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে সেই টাকা দিয়ে বিশ্বের যত নামকরা বিশেষজ্ঞদেরকে এনে ঢাকার উন্নয়ন করা কোনো ব্যাপারই ছিল না। সেই অর্থ যদি আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে থাকত- শুধু ঢাকা নয়, বাকি ৫টা মেট্রোপলিটন শহর উন্নত হতো। দেশ একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হত।

বক্তব্যের শুরুতেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান ইশরাক।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন