ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে ইটিআই ভবনে ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেমের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তাবিথ আউয়ালের প্রতিনিধি মো. জুলহাস উদ্দিন।

অভিযোগপত্রে তাবিথ আউয়াল বলেন, ৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরোশন নির্বাচন-২০২০ মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর নির্বাচনি এলাকার মধ্যে গুলশান-১ এলাকার গুলশান পার্কে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একটি নির্বাচনি মঞ্চ করে, মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে নিজের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন ও কর্মীদেরকে ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন যা সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন ও গর্হিত অপরাধ বটে। নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল যে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিদ্যমান থাকবে এবং নির্বাচন আচরণবিধি সকল প্রার্থীর জন্য সমভাবে প্রয়োগ করা হবে এবং তা তদারকির জন্য মাঠপর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে।

চিঠিতে বলা হয়, দুঃখের বিষয় আজ আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ লঙ্ঘন করে একটি নির্বাচনি জনসভা করলেন, কিন্তু আপনার অধীনস্ত কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই বিধিমালা লঙ্ঘনকারী প্রার্থীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও করেননি। আমার এই অভিযোগের সপক্ষে কিছু স্থির চিত্র সংযোজন করলাম। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি-৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারবে না।

অভিযোগের প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের উক্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে তার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে আশা প্রকাশ করেন তাবিথ। 
অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগটি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠাব আর তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলব। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এইচএস/ এফসি