• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২০, ১০:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৫, ২০২০, ১০:২১ পিএম

‘আতিকুলকে শোকজের নির্দেশ— এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি ’

‘আতিকুলকে শোকজের নির্দেশ— এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি ’
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম-ছবি : জাগরণ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীতি মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোনও নির্দেশনা পাননি এই সিটির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। 

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছ বলে জানান নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘‘শুনলাম মাননীয় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম স্যার বলছেন যে এই জনাব তাবিথ আওয়াল যে অভিযোগটা করেছেন সে বিষয়ে শোকজ করতে। আসলে এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। জনাব তাবিথ আউয়াল অভিযোগটা দিয়েছেন আমার কাছে। উনি তো কমিশনের কাছে অভিযোগ দেননি। বিষয়টি আমি এটি তদন্ত করতে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কমিশন আমাকে কিছু বলেওনি। কমিশন বা সরকারি অফিস চলে লিখিতভাবে, কথায় চলে না। নথিতে চলে বা লিখিতভাবে। আমি কমিশন থেকে লিখিতভাবে কোনও কিছু পাইনি’।

তদন্ত প্রতিবেদন কতদিনের মধ্যে দিতে বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করে ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) মধ্যে আমার কাছে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেটদের আমি বলেছি প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আমার কাছে প্রতিবেদন দিতে। তারা বলেছেন আমরা প্রতিদিন প্রতিবেদন দিয়ে দেবো।

তিনি আরও বলেন, আমি ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছি আপনারা দৃশ্যমান থাকবেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেন। এ ক্ষেত্রে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যেতে তাদের সমস্যা হয়। এটা উনারা বলেছেন। আমরা বলেছি কোনও ঘটনা শোনা বা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে যেনো সত্যি অভিযোগ দেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থাকেন।

ফেসবুকে নির্বাচনি প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আচরণবিধির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। আমরা আচরণবিধিতে যা আছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

আচরণবিধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণার বিষয়টি উল্লেখ নেই।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন