• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২০, ০৬:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৪, ২০২০, ০৬:৪৬ পিএম

রেলের বেদখল জমি ৩ হাজার ৬১৪ একর : সংসদে রেলমন্ত্রী

রেলের বেদখল জমি ৩ হাজার ৬১৪ একর : সংসদে রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলের বর্তমানে ভূমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮২০ দশমিক ৩৫ একর। এসব ভূমির মধ্যে রেলের দখলে রয়েছে ৫৮ হাজার ৬০৬ দশমিক ৫৭ একর অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৬১৪ একর জমি বেদখলে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে মো. মোজাফফর হোসেনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। সংসদে রেলপথ মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সংসদে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে রেলের জমি লিজ দেয়া হলেও সেগুলো বেদখল হয়নি। তবে, কিছু কিছু জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়নি। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ খাত থেকে রেলের আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯০ টাকা। আদায় করা টাকার বাইরে লিজ গ্রহিতাদের কাছে এখনো সংস্থাটির পাওনা রয়েছে ১২৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৯৬ টাকা। যথাসময়ে লাইসেন্স ফি পরিশোধ না করায় বকেয়া রয়েছে। খেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরকারি পাওনা আইন, ১৯৯৩ অনুযায়ী সার্টিফিকেট মামলা দায়ের সাপেক্ষে আদায়ের পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। 

বিএনপির সংরক্ষিত এমপি রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি দাতা সংস্থাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত (২০০১-০৬) জোট সরকার রেল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সরকারের পট পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেলকে রক্ষা করে। বর্তমানে এর ক্ষেত্র বেড়েছে। তবে, লাভ-অলাভজনক বিবেচনায় এটি আকস্মিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বেসরকারিখাতে ছেড়ে দেয়া সঠিক হবে না। 

বিএনপির হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেলের অপতিত জমিগুলোকে খাসখতিয়ানে এনে সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠান করার জন্য বিশেষভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। বিএনপির এমপির এ ধরনের প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ জানান প্রশ্নের উত্তরকারী।

এইচএস/ এফসি