• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৭:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৭:০৫ পিএম

তামাকের প্রভাবে প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত ১৫ লাখ ৬১ হাজার 

তামাকের প্রভাবে প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত ১৫ লাখ ৬১ হাজার 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে দেশে ১৫ লাখেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ তামাক সেবনের কারণে এবং ৬১ হাজারেরও অধিক শিশু পরোক্ষভাবে তামাকের প্রভাবে প্রাণঘাতি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

‘দি ইকোনোমিক কস্ট অব টোবাকো ইউজারর্স ইন বাংলাদেশ : এ হেলথ কস্ট অ্যাপ্রোস’ শিরোনামে ২০১৮ সালের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে বেগম শামসুর নাহার (মহিলা আসন-১৩) এর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ওই গবেষণার সূত্র ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, এ রিপের্টে আরও বলা হয়- তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে দেশে প্রতিবছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয় হয় যা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জাতীয় আয়ের ১ দশমিক ৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণকে তামাকজাত রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য যানবাহন, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ও গণপরিবহনে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা আছে তা কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ৩২১ জন জেলা/উপজেলা স্যানিটানি ইনসপেক্টরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

ট্রান্সফোর্স কমিটি গঠন করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ৮৬৬ টি ঘটনায় বিপরীতে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভেজাল ওষুধ : ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা

সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ২০১৯ সালে মিডফোর্ডসহ সারা দেশে নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে ২১৪৫টি মামলা দায়ের করে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ টাকা জরিমানা, ৩৯জনকে কারাদণ্ড, ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে এবং আনুমানিক ৩১ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা মূল্যের নকল ভেজাল ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে আনুমানিক ৪৬ দশমিক ৬২ কোটি মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।

তিনি বলেন, গত বছর এ কারণে ৪১টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ৩টি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন স্থগিত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৯টি ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। মানবহির্ভূত হওয়ায় ৯টি ওষুধের নিবন্ধন বাতিল ও ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি (ডিসিসি) দ্বারা ৯৯টি জেনেরিক ওষুধ বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপির সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এসব মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বিএমএ-ডিসি সময়ে সময়ে পরিদর্শন করে। মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান মনিটরিং করা হয়। একই সাথে অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ মেডিকেলে ডেন্টাল কাউন্সিল হতে মনিটরিং করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম নেয়া হয়।

রুমির ফারহানার আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর শুধু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ অনুকূলে মূল্য সনদ প্রদান করে। ১৯৯৪ সালের আদেশ ও মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে প্রাইমারি হেলথকেয়ার তালিকাভুক্ত ১১৭টি জেনেরিকের বিভিন্ন ডোজেস ফর্মের ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সরকার নির্ধারণ করে থাকে।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন