‘নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে আমার কিছু বক্তব্য রয়েছে। এই নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের যেভাবে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন, তা হচ্ছে না। ওই নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত যে ৩টি কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়, তার কোনওটিতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি, অনিয়ম বা প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে কোনও আলোচনা হয়নি এবং কোনও কমিশন সভায় এসব বিষয় এজেন্ডাভুক্ত হয়নি।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। 

মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই কোনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। আমাদের কর্মকাণ্ডে তা দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্ছনীয়। 

তিনি বলেন, ২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) যে নির্বাচন কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতেও ঢাকা সিটি করপোরেশন সম্পর্কে কোনও বিষয় এজেন্ডাভুক্ত নয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে ৯, ১৩, ১৬ ও ২০ জানুয়ারি ৪টি ইউও নোট প্রদান করেছি, তা রীতিমত উপেক্ষা করা হয়েছে এবং আমলে নেয়া হয়নি। এসবের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনও আলোচনা হয়নি বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গৃহীত হয়নি। যদি আমার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলেও আমাকে তা জানানো উচিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রদত্ত ইউও নোটের মাধ্যমে কমিশন সচিববালয়ের সিনিয়র সচিব ও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই রিটার্নিং অফিসারের কাছে আমি প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তথ্যাদি জানাতে বলেছিলাম। এসব অভিযোগের বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমার কাছে পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার সেই নির্দেশ উপেক্ষিত হয়েছে এবং কোনও তথ্যই সরবরাহ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষ থেকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে যেসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বা অভিযোগপত্র প্রেরিত হয়েছে, তা নিয়ে কমিশনে কোনও প্রকার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এসব অভিযোগের পেছনে যে অসন্তোষ আছে, তা বিস্ফোরিত হলে সিটি করপোরেশন নির্বাচন যথোপযুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হবে না, যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সভায় আমার প্রস্তাব বা সুপারিশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার কারণে অগৃহীত হয়। আমাকে সংখ্যালঘিষ্ঠ হিসেবে না দেখে আমার বক্তব্যের বিষয়বস্তুর মেরিটকে বিবেচনায় নেয়া সমীচীন বলে মনে করি। আমার ধারণা কমিশন সভায় আমার বক্তব্য প্রদানের স্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

এইচএস/এসএমএম