• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০১:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০১:২৬ পিএম

ইশরাকের ইশতেহারে নগর উন্নয়নে ১৩ দফা ও ১৪৪ প্রতিশ্রুতি

ইশরাকের ইশতেহারে নগর উন্নয়নে ১৩ দফা ও ১৪৪ প্রতিশ্রুতি
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন ইশরাক হোসেন- ছবি: কাশেম হারুন

ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে আধুনিকায়নের পথে বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইশরাক এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

ইশতেহার ঘোষণার শুরুতেই দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার রক্ষা এবং ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সম্মিলনে মাদকমুক্ত, যানজট-দূষণমুক্ত, মশা ও জলাবদ্ধতামুক্ত, ভারসাম্যমূলক ও পরিবেশসম্মত বিশ্বমানের বাসযোগ্য এক অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় জানান ইশরাক হোসেন।

ইশতেহারে আধুনিক ও বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে ১৩ দফা এবং ১৪৪টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার এই ছেলে। ইশরাকের ইশতেহারে আছে দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেবা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার মানবাধিকার রক্ষা এবং ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সম্মেলনে মাদকমুক্ত যানজট দূষণ মুক্তমশা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত ভারসাম্যমূলক ও পরিবেশ সম্মত বিশ্বাসযোগ্য আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয়।

এছাড়া, যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ওয়ার্ডের অলিগলির উন্নয়ন নিশ্চিত করা, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ওয়ার্ডের অলিগলির রাস্তার সংস্কার ও প্রযোজনীয় টেকসই উন্নয়ন, রাস্তা পারাপারে বিভিন্ন স্থানে অধিক সংখ্যক আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি।
 
ইশতেহারে বলা হয়, প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে পর্যায়ক্রমে এলিভেটর/এস্কেলেটর (চলন্ত সিড়ি) স্থাপন ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নগরীতে ওয়ান স্টপ বাস সার্ভিস চাল, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, অন্ধ, প্রতিবন্ধী, নারী, শিশু এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত করা হবে।  মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধাসম্বলিত স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধাসহ অত্যাধুনিক ও পরিচ্ছন্ন যাত্রী বিশ্রামাগার ও টাউটমুক্ত যাত্রীবান্ধব পরিচ্ছন্ন বাস টার্মিনাল উপহার দেয়ান হবে। যেসব এলাকায় রাস্তায় ফুটপাত নেই প্রযোজনীয়তার নিরিখে সেখানে ফুটপাত নির্মাণ এবং প্রয়ােজনে বিদ্যমান ফুটপাত সংস্কার, আধুনিকায়ন ও প্রশস্তকরণ করা হবে। রাজধানীর বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ করে রাত্রিকালে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত ও নিরাপদ সিটি পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে।  জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রশিক্ষিত নিরপেক্ষ কমিউনিটি পুলিশ গড়ে তোলা হবে। হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদ্যমান পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক এলাকায় বহুতল পার্কিং ভবন, পার্কিং লট ও আন্ডার গ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।

ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন-  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সালাহউদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির আ স ম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাবি সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিসের মওলানা শফিক উদ্দিন প্রমুখ।

টিএস/বিএস