• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৯:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৯:৪৮ পিএম

কভিড-নাইনটিন

চীনে কমলেও ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে

চীনে কমলেও ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে
আক্রান্ত এক ব্যক্তিতে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে ● ইন্টারনেট

কভিড-নাইনটিনে (করোনাভাইরাস) আক্রান্তের সংখ্যা চীনে কিছুটা কমলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে। ইতালিতে এই প্রথম প্রাণ গেলো দু’জনের। ইরানে প্রাণ গেছে ৪ জনের। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও লেবাননেও দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ‘ভুতুড়ে’ শহরে পরিণত হয়েছে কয়েকটি বড় শহর।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরে নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরাতে এরই মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ইতালি আর দক্ষিণ কোরিয়ায় বিপুল বাংলাদেশি থাকায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মাঝেও।

চীনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৮ হাজার ৩৪৫ জন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, প্রথমবারের মতো চীনে একদিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন ধরে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া কয়েকজনের মধ্যে নতুন করে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ায় সতর্ক করেছেন একজন চীনা বিশেষজ্ঞ।

ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় কুয়েত এয়ারওয়েজ ইরান থেকে আসা সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। একই শঙ্কায় চীন ও হংকং এর পর জাপান থেকে আসা পর্যটকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, রোগীদের সংস্পর্শে ছিলেন না কিংবা সম্প্রতি চীনে যাননি এমন বেশ কয়েকজনও আক্রান্ত হয়েছে ভাইরাসটিতে।
ইতালির কডোগনো শহরে ভাইরাস আতঙ্কে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর দোকানপাট। শুধু কডোগনো নয় ইতালির আরও ১০টি শহর অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। আতঙ্কে দিন কাটছে এখানকার বাসিন্দাদের। খবর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মাধ্যমের।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর কডোগনো শহরের বাসিন্দা কারমেলোর বরাত দিয়ে জানায়, এরই মধ্যে কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।হাসপাতালগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভয় আর আতঙ্কে দিন কাটছে। সব দোকানপাট বন্ধ। 

উত্তর কোরিয়ায় গেলো দু’দিনে নতুন করে ২০০এর বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪০০। 

ইরানেও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ইরানের এক মেয়র। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মুরতজা রহমান জাদেহ নামে ওই ব্যক্তি রাজধানী তেহরানের ১৩ নম্বর জেলার মেয়র। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তার শরীরে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

পবিত্র শহর কুয়াম থেকে শুরু হওয়া এই মহামারীতে এখন পর্যন্ত দু’জন মারা গেছেন। নতুন ১৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট ১৮ ইরানি চীনের উহান উদ্ভূত এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান কিয়ানোস জাহানপোর বলেন, নতুন করে আক্রান্তদের বেশিরভাগই কুয়োম শহরের। মৃতদের বেশিরভাগই বয়স্ক। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে তাতে আতঙ্কিত আমরা।

যদিও চীনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। ভাইরাস মোকাবেলায় উহানে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আরও চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে সেখানে।

চীন থেকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। আর নিজ নাগরিকদের ফেরানোর প্রতিবাদে ইউক্রেনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।

চীন ভ্রমন না করে কিংবা রোগীদের সংস্পর্শে না এসেও ভাইরাসটিতে আক্রান্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস অ্যাবহানোম।

এসএমএম