• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২০, ০৩:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০২০, ০৪:২৩ পিএম

পহেলা বৈশাখের সব আয়োজন বন্ধে প্রজ্ঞাপন

পহেলা বৈশাখের সব আয়োজন বন্ধে প্রজ্ঞাপন
ফাইল ছবি

কোভিডের বিস্তাররোধে সরকার তিন পার্বত্য জেলার বৈসাবি উৎসবসহ ১৪২৭ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের (১৪ এপ্রিল) সব আয়োজন স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বুধবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সই করা এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়, কোভিডের বিস্তাররোধকল্পে জনসমাগম পরিহার করার লক্ষ্যে ১ বৈশাখ ১৪২৭ বা এ সময়ে সব ধরনের অনুষ্ঠান (তিন পার্বত্য জেলার বৈসাবিসহ) এবং কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

পহেলা বৈশাখের ছায়ানটের আয়োজনটিকে ঘিরে সারা ঢাকা শহরের মানুষ একত্রিত হন রমনায়। তিন পার্বত্য জেলাতেও বহু মানুষ একত্রিত হয়ে পালন করে বৈসাবি উৎসব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জনসমাগম করে নববর্ষ উদযাপন না করার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান আপনারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন। সেখানে সবাই যত খুশি উৎসব করুন। জনসমাগম করে এই অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে বন্ধ রাখতে হবে।

পঞ্জিকার শাসন মেনে এবারও নতুন বছর আসবে। বাংলা ১৪২৬ সালের সূর্য ডুববে, হাসবে ১৪২৭ সালের সূর্য। আসবে পয়লা বৈশাখ। কিন্তু মানুষ মিলবে না রমনার বটমূলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ১৯৭১ সালের পর এবারই প্রথমবার বছরের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে গান শোনাবে না ছায়ানট। গানে গানে করবে না নতুন বছরের বন্দনা। ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার অশত্থমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু হয়েছিলো।

২০০১ সালে সিরিজ বোমা হামলার পরের বছরেও যে আয়োজন বন্ধ হয়নি। কিন্তু এবার কোভিড মোকাবেলা করতে স্থগিত করা হলো ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। 

এসএমএম