• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২০, ০৩:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০২০, ০৩:৪০ পিএম

কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকিতে মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়

কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকিতে মসজিদসহ ধর্মীয় উপাসনালয়
মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে ● সংগৃহীত

কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মসজিদ, মন্দিরসহ দেশের সব ধর্মীয় উপাসলয়ে উপস্থিতি কমেছে তবে তা এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে মনে করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সঙ্কটের এ সময়ে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে জনসমাগম এড়ানো ও সচেতনতা তৈরিতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানান মন্ত্রণালয়।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়ার পরপরই মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ নেয় সরকার। ঘোষণা হয় সাধারণ ছুটি। বন্ধ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও গণপরিবহন। পাশপাশি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিকসহ সমাবেশ বন্ধ রাখতে বলে সরকার।

কোভিডের ভয়াবহতা বিবেচনায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে দেয়া হয়েছে মসজিদে নামাজ বন্ধের নির্দেশনা। এ প্রেক্ষাপটে মসজিদ, মন্দিরসহ উপাসনালয়ে না গিয়ে বাড়িতে প্রার্থনার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৯ মার্চ আলেম-ওলামাদের নিয়ে বৈঠক করে ইসলামি ফাউন্ডেশন। এতে আসে মসজিদে সীমিত পরিসরে নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত। এরপরই কমেছে বায়তুল মোকাররম সহ দেশের মসজিদগুলোতে উপস্থিতি।

এ অবস্থায় পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবণ করে জাতীয় স্বার্থে মসজিদের জামাত আরও সীমিত করার পক্ষে সরকার।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এই দেশটাকে মহামারি থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের। এই দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হলে এই সময়ে আমাদের যে কাজটা করা দরকার সেটা আমরা ইনশাল্লাহ্ করবো এবং সেগুলো নিয়ে আমরা এখন ব্যস্ত আছি। তবে আমরা সবাইকে নিয়ে করতে চাই।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মনে করছেন জনগণের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনে এর চেয়ে কড়া সিদ্ধান্তও দিতে পারে সরকার।

সরকার প্রধানের এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।

বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, নিজেসহ সবাই বেঁচে গেলে ধর্ম-কর্ম আমরা করতে পারবো বলে আমি মনে করি। সরকারের এই নির্দেশটি সব সম্প্রদায়সহ বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মের সবাইকে আহ্বান জানাবো এই নিয়ম যাতে মেনে চলে।

ভক্তরা নিজ বাসায় প্রার্থনা করায় ফাঁকা দেশের প্রায় ৩ হাজার গির্জাও।

হলি রোজারি চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার কমল কোড়াইয়া বলেন, আমাদের চার্চগুলো বলতে গেলে বন্ধ আছে। গত রোববার আমাদের উপাসনালয়ে লোক ছিলই না বললে চলে। আমরা যারা ধর্মযাজক আছি আমরা নিজেরাই উপাসনালয় পরিচালনা করেছি। সেখানে কোনও খ্রিস্টভক্ত ছিল না।

কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার প্রভাব দেখা গেছে মন্দিরগুলোতে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, ভক্তদের একেবারে আমরা নিরুৎসাহিত করেছি। সে যেনো দেবালয়ে না যায়। ঘরটিকে সে যেনো মন্দির এবং উপাসনালয় ভাবে। তার পরিবার নিয়ে যাতে সে নিরাপদ থাকে অন্য মানুষকে একই সাথে যেনো সে নিরাপদ করে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

এসএমএম