• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২০, ০৮:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০২০, ০৮:৪২ পিএম

কোভিড-১৯

ট্রাম্প প্রশাসনের গাফিলতির নিন্দা

ট্রাম্প প্রশাসনের গাফিলতির নিন্দা
ডোনাল্ড ট্রাম্প

চীন, ইউরোপের পর বিশ্বে কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় হাজারের বেশি প্রাণহানি দেখেছে দেশটি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য প্রথম কোভিড শনাক্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা এবং জরুরি পদক্ষেপের অভাবকে দায়ী করেছে সেদেশের কয়েকটি গণমাধ্যম। একইসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনাও করেছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০ জানুয়ারি। ওই দিনই ৫ হাজার মাইল দূরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম কোভিড রোগী শনাক্ত হয়। এর মাত্র ছয় সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ সংখ্যা মাত্র কয়েক হাজার।

উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাড়ছে আতঙ্ক। প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। শুরুতে কোভিডকে মামুলি ফ্লু হিসেবে বর্ণনা করা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবারই শুনিয়েছেন আশ্বাস বাণী।

৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেন, এপ্রিলে তাপমাত্রা বাড়বে আর কমে আসবে কোভিড। তারপর ২৭ ফেব্রুয়ারি বলেছেন কোভিড নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। একদিন এই ভাইরাস চলে যাবে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেও করোনার ভয়াবহতা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন স্বাস্থ্য ও হিউম্যান সার্ভিস মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার।

পলিটিকো হেলথ পলিসি রিপোর্টার ড্যান ডায়মন্ড বলেন, মার্চে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। অথচ কিছুদিন আগেও এতোটা চিন্তিত মনে হয়নি সরকারকে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন আক্রান্ত বাড়ছিলো তখনও সময় ছিলো কোভিড নিয়ন্ত্রণে আনার।

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে দায় দিচ্ছে দেশটির গণমাধ্যম। কোভিড প্রাদুর্ভাবের পরপরই টেস্ট কিট পাঠানো হলেও মান নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শুধু ভাইরাসের উপসর্গ আছে এবং যারা কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদেরই পরীক্ষা করা হয়। আর এই সুযোগেই দ্রুত বিস্তার ঘটে ভাইরাসের।

মহামারি কোভিডের হুমকি অবমূল্যায়ন এবং প্রথম দিকে জরুরি পদক্ষেপ না নেয়ায় দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রকে দায়ী করেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে বুধবার (৩১ মার্চ) শঙ্কা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

এসএমএম