• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২০, ০৩:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৪, ২০২০, ০৩:১১ পিএম

চীনে করোনায় মৃতদের স্মরণে শোক পালন, বাংলাদেশের সহানুভূতি

চীনে করোনায় মৃতদের স্মরণে শোক পালন, বাংলাদেশের সহানুভূতি
দেশজুড়ে তিন মিনিটের নীরবতা পালন করেছে চীন ● ইন্টারনেট

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের উহানসহ বিভিন্ন শহরে মৃতদের স্মরণে শনিবার (৪ এপ্রিল) দেশটিতে অনুষ্ঠিত শোক দিবসে গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। 

ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে’।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, বিশেষ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যারা প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ‘শহীদ’ হয়েছেন তাদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে শনিবার দেশজুড়ে তিন মিনিটের নীরবতা পালন করেছে চীন। 

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার চীনের সাধারণ মানুষ ও সরকারের পাশে রয়েছে। 

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সঙ্কটময় এই সময়ে চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব প্রদর্শনের জন্য চীন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। 

এ সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ‘মহান দেশ’ চীনের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন ড. মোমেন।

চীনের সব বড় শহরগুলোতে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে এর মূল কেন্দ্র ছিল উহান শহর, গত বছরের ডিসেম্বরে যেখানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।

চীনে শনাক্ত হওয়ার পর এরই মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। এতে শুধু চীনেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫১১ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ১৬০ জনে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৪ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৮ লাখ ১০ হাজার ৩৫১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৯ হাজার ৩৯১ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন (৭৯ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ৫৯ হাজার ১৬০ জন (২১ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।

এসএমএম