• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৭, ২০২০, ০৮:৩৫ পিএম

‘মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে আনা সম্ভব হবে’

‘মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে আনা সম্ভব হবে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ● ফাইল ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত পলাতক বাকি খুনিদের মুজিববর্ষেই দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদকে ঢাকা থেকে গেফতারের পর এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটের মধ্যেও আমরা খুশির একটা খবর পেলাম। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করা হবে। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা যে তা সম্ভব হলো।তবে এখনও পাঁচজন খুনি পলাতক রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, মুজিববর্ষেই বাকি খুনিদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দরকার দেশের ও প্রবাসী জনগণের সহযোগিতা। আমাদের আশাবাদ মুজিববর্ষেই তা সম্ভব হবে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে মিরপুর থেকে আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাজেদকে গ্রেফতার করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়।

আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তার ফাঁসির রায় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

পলাতক আসামিরা হলো— লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) এএম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান।

এসএমএম