• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২০, ১০:৫৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০, ১০:৫৫ এএম

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী

সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় চাষাবাদে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান

সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় চাষাবাদে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ফটো

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় চাষাবাদের প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধামমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দুযোর্গ এলে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। ‍অতীতে আমরা বহু দুযোর্গ সাহসীকতার সঙ্গে কোবাবিলা করেছি। এবারো সাহসের সঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করবো।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বৃহৎ শিল্প থেকে শুরু করে সব ধরনের শিল্প খাত এবং কৃষি খাতের জন্যও প্রণোদনা দিয়েছি। আমরা বিভিন্ন খাতে মোট ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। কোনো খাত প্রণোদনা থেকে বাদ পড়বে না।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বের প্রায় আড়াইশ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। সারাবিশ্বের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশও বিশ্বের একটি দেশ। তাই বাংলাদেশেও এর প্রভাব রয়েছে। তবে আমরা অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা প্রণোদনা ঘোষণা করেছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা ধাপে ধাপে রফতানিমুখী খাত, বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। পরে কৃষি খাতের জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনা কেবল ধান চাষিদের জন্য নয়, মৎস্য-পোল্ট্রি-ডেইরি সব খাতকে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কেউ প্রণোদনার আওতা থেকে বাদ পড়বে না।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যরা উপস্থিত আছেন।

জেডএইচ/এসকে