• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২০, ০৮:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১০, ২০২০, ০৮:২০ পিএম

কার্বাইডে পাকানো ৪০ টন আম জব্দ

কার্বাইডে পাকানো ৪০ টন আম জব্দ
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীতে অপরিপক্ক আম রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বিক্রির দায়ে ১৩টি আড়তকে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৩ ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জব্দ করা হয় ৪০ টন আম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যা করোনার এই মহামারিতে মানবদেহের জন্য ভয়াবহ হুমকির কারণ হতে পারে।

ভেতরে সাদা, শক্ত হয়নি আমের আঁটি। কিন্তু দেখে মনে হয় পাকা। কার্বাইড দিয়ে পাকানো এসব আম দেদারসে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীজুড়ে। যা সরবরাহ করা হচ্ছে বাদাতলীর আড়ৎ থেকে।

রাজশাহীর গোবিন্দভোগ, লক্ষ্মনভোগ জাতের এসব আম ১৫ মের পর গাছ থেকে পারার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাজারে আসবে ২০ তারিখের পর। অথচ অসাধু ব্যবসায়ীরা ১৫ দিন আগেই তা বিক্রি করছে।

কৃষি ও সম্প্রসারণ অধিদফতরে উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, গোবিন্দভোগ, লক্ষ্মনভোগ জাতের আম খাওয়ার উপযোগী হবে আরও ১০ থেকে ১২ দিন পর। রাসায়নিকে পাকানো এসব আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া এটা কিডনি থেকে শুরু করে সব ধরনের রোগের জন্য দায়ী। যা করোনার সময়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, বাদামতলীতে রাসায়নিক দিয়ে আম পাকিয়ে বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয় ১৩টি আড়তকে। সিলগালা করা হয় ৪টি আড়ত। দুই ব্যবসায়ীকে এক বছর করে এবং আরও একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধ্বংস করা হয় ৪০ টন আম।

বাদামতলীতে একটি খেজুরের আড়তে অভিযান চালায় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চার টন পঁচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর ধ্বংস করা হয়।।

এসএমএম

আরও পড়ুন