• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২০, ০৯:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১১, ২০২০, ০৯:০২ পিএম

তাহলে লঞ্চ চলাচলে দোষ কোথায়?

তাহলে লঞ্চ চলাচলে দোষ কোথায়?
ছবি ইউএনবি’র সৌজন্যে

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ দিয়ে ঢাকামুখী মানুষের ঢল থামছেই না।

সোমবারও (১১ মে) নানা পেশার হাজার হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে কর্মস্থল ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে ফিরছেন।

সকাল থেকেই লোকজনকে ফেরিতে করে পদ্মা পার হতে দেখা গেছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ভয়কে উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন কর্মস্থলে ফেরার জন্য।

শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে মানুষের ঢল নিয়ে ফিরছে ফেরিগুলো। সেখানে গুটি কয়েক গাড়ির সাথে ছিল শত শত লোক। আর তীরে এসে ফেরি থেকে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে নেমে পড়ছেন যাত্রী সাধারণ। সেই সাথে কে কার আগে যানবাহনে উঠবেন এ নিয়েও চলে প্রতিযোগিতা। বাস না থাকায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে প্রতিদিনকার মতো ব্যাটারিচালিত আটো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্যাম্পু, ইয়েলো ক্যাব, নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ছোট গাড়ি ধরে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে রওনা দেন তারা।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক সিরাজুল কবির বলেন, প্রতিদিন শত শত লোক আসছে। সবই ঢাকামুখী যাত্রী। গার্মেন্টেস খোলার ঘোষণার পর মার্কেটও খুলে দেবার ঘোষণা দিলে নানা শ্রেণি-পেশার শত শত লোক গত কয়েক দিন ধরে ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে ছুটছেন।

ফেরিতে প্রতিদিন এভাবে লোক পার হতে দেখে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথের লঞ্চ মালিকরা যাত্রী পারাপারে তাদের লঞ্চ চলাচল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মোশারফ হোসেন নসু নামে এক লঞ্চ মালিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেছেন, তাহলে আমাদের দোষ কী? ফেরিতে যদি এভাবে লোক পার হয়, তবে আমাদেরও লঞ্চে পারাপারের অনুমতি দেয়া হোক। তাতে গাদাগাদি কম হবে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকবে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌপথে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। আজও ফেরিতে করে শত শত ঢাকামুখী যাত্রী পার হয়েছেন।

এসএমএম

আরও পড়ুন