• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২০, ০৯:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০২০, ০৯:৩১ পিএম

আম্ফান

১ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন

১ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন
সংগৃহীত ছবি

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে দেশের প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন। কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হলেও সেটার পরিমাণ কম।

অধিকাংশ ঝড় কবলিত এলাকায় বড় বড় গাছ উপড়ে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। কোথাও কোথাও উপড়ে পড়েছে বা ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিলম্ব ঘটছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠিসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কিছু কিছু করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আরইবির গ্রাহকদের মধ্যে ঢাকার আশপাশ ছাড়া কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, খুলনা, বরিশাল বেল্টে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে প্রায় ২০০ এর মতো। অসংখ্য বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে বড় বড় গাছ পড়ে। এসব এলাকার দুই কোটি ৮৫ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকেই পল্লি বিদ্যুৎ সবকিছু স্বাভাবিক করা কাজে নেমেছে। এর মধ্যে ৯টি জেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব পুরোপুরি গেলে সেটি চালু করা হবে। যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে আম্পান আক্রান্ত উপকূলীয় এলাকার সব মানুষকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা যায়, আমরা সে চেষ্টা করছি।

উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক উদ্দিন জানান, ‘প্রায় সারারাতই ঝড় হয়েছে। ফিডারগুলো একটা পর্যায়ে এক এক করে সব বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকটি গ্রিডও বন্ধ হয়ে গেছিল। কোথাও ১৩২ লাইন ট্রিপ করে, কোথাও ওভার ভোল্টেজে ট্রান্সফরমার ট্রিপ করে। এতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আর আমাদের অসংখ্য খুঁটি ভেঙে গেছে ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।’

এসএমএম