• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২০, ০৭:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৮, ২০২০, ০৭:০৩ পিএম

‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম’

‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম’
ড. একে আবদুল মোমেন ● ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই রফতানির মাধ্যমে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। 

তবে দু’মাস আগে তিনি এ ধরনের সুযোগের কথা বললেও অনেকে এই সম্ভাবনার বিষয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা খুবই দক্ষ। তারা খুব দ্রুত এটি করেছে (ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের প্রথম চালান রফতানি করে)।

গত ২৩ মার্চ ড. মোমেন গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে চায় এমন ২২টি পণ্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে অনেকেই এ বিষয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে এবং এটি অসম্ভব উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন।

কেউ কেউ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ কখনই বাংলাদেশকে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বলতে পারে না, যদিও তারা জানেন যে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রে।

প্রাথমিকভাবে ২২টি পণ্যের তালিকা পাঠালেও পরে এতে আরও তিনটি সরঞ্জাম যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনার পর বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো তালিকা থেকে ১৪টি সরঞ্জাম রফতানি করতে সক্ষম বাংলাদেশ।

এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম বাংলাদেশ কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, অন্যান্য দেশেও সরবরাহ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, এগুলো আমরা কয়েকটি দেশে রফতানি করার পাশাপাশি কিছু দেশে অনুদান হিসেবেও পাঠাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) চিহ্নিত হয় তখন বাংলাদেশি গার্মেন্টস মালিকরা এক সপ্তাহের মধ্যে ৫-৬ লাখ পিপিই তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য।

এসএমএম