• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২০, ০৩:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০২০, ০৩:০৭ পিএম

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি

একের পর এক তোলা হচ্ছে মরদেহ

একের পর এক তোলা হচ্ছে মরদেহ
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর সদরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী ৮ জন ও শিশু ৩ জন রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিআইডব্লিউটিএর। 

সোমবার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা, পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ জনে। 

নিখোঁজদের স্বজনদের বিআইডব্লিউটিএর ০১৭১৬০২৬৭০৪ এর নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, মুন্সিগঞ্জ হতে আগত লঞ্চ মর্নিং বার্ড-এর যে সকল যাত্রী নিখোঁজ তাদের স্বজনদের এই নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হল। 

বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে বিপুল সংখ্যাক স্থানীয় মানুষ সহায়তা করছে। তবে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওয়ানা দেয়া বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ এখনও পৌঁছায়নি। 

এর আগে এদিন সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিংবার্ড লঞ্চটি জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুই তলা মর্নিংবার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিংবার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ জন যাত্রী স্থানীয়দের সহায়তায় সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন।

বিআইডব্লুউটিএর যুগ্ম পরিচারক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, বেশিরভাগ যাত্রী উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা ইসলাম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনার পর তাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এসএমএম

আরও পড়ুন