• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২০, ১১:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০২০, ১১:২০ এএম

ওয়ারীতে লকডাউন

নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউন মানতে চাইছেন না ওয়ারীর বাসিন্দারা। অনেকেই ফাঁক-ফোকর গলে বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। কেউ প্রভাব খাটিয়ে বেরোচ্ছেন; আবার স্বেচ্ছাসেবীরাই অনেককে বের হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। কারও কারও নাম খাতায় লিখে বের হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আবার কাউকে বের হতে না দেয়ায় পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে। ফলে পূর্ব রাজাবাজারকে যতটা শক্তভাবে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছিল, ওয়ারীতে সেটি হচ্ছে না। কার্যত ঢিলেঢালা ও অব্যবস্থাপনার লকডাউনে পরিণত হয়েছে ওয়ারী।

সোমবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে লকডাউনের তৃতীয়য় দিনেও দেখা গেছে, নানা অজুহাতে মানুষ খোলা থাকা দুটি প্রবেশপথ দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। বাধা দেয়ায় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হচ্ছে বাসিন্দাদের। বাকি ১৫টি প্রবেশপথ বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। অবশ্য বাঁশের বেড়ার ফাঁক গলিয়ে বাসিন্দারা আসা-যাওয়া করছেন।

বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, লকডাউনে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নবাবপুর, গুলিস্তান, রাজধানী সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায়। টানা ২১ দিন ঘরবন্দি থাকলে মোটা লোকসান গুনতে হবে। তারা সকালে বের হয়ে রাতে ঢোকার দাবি জানিয়েছেন।

ওয়ারী থানার সাব-ইন্সপেক্টর আসাদ জানান, তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন বোঝাতে। কিন্তু অনেকেই মানতে চাইছেন না। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণও করছেন না।

দেখা যায়, সকালেই খোলা থাকা দু’টি গেটে অফিসমুখী মানুষের ভিড়। যারা বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি করেন, তাদের নাম খাতায় লিখে বের হতে দেয়া হচ্ছে। এমনকি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদেরও পরিচয়পত্র দেখে বের হতে দেয়া হচ্ছে। কিছু সরকারি বড় কর্মকর্তাও বিনা বাধায় বের হচ্ছেন।

স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, তাদের কিছু বললেই উল্টো হুমকি-ধমকি দেয়। এলাকাবাসী যদি সহযোগিতা না করে এভাবে বেরিয়ে যায়, তাহলে এমন লকডাউনের দরকার কী ছিল?

একাধিক স্বেচ্ছাসেবী জানান, বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খুবই বিরক্ত করছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কথামতো ২১ দিনের লকডাউনে এই এলাকা থেকে কেউ বের বা ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু এলাকাবাসী কো-অপারেট করছেন না। কেউ কেউ হুমকিও দিচ্ছেন। বলছেন তার চাকরিতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?

দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিশৃঙ্খলার বিষয়টি তারা দেখছেন। কিন্তু কে ঢুকবেন কে বেরোবেন- সেটি দেখছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

এসব বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো বলেন, এসব বিষয় তিনি কঠোর নজরদারিতে আনার চেষ্টা করছেন।

কেএপি

আরও পড়ুন