• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২০, ১২:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২০, ১২:২৩ এএম

৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ভারত পালাচ্ছিলেন সাহেদ

৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ভারত পালাচ্ছিলেন সাহেদ
সংগৃহীত ছবি

ভারত পালাতে সাতক্ষীরার দালাল ফেরদৌসের সঙ্গে ৫০ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ। ১১ জুলাই (শনিবার) সাহেদকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায় ফেরদৌস। ১৫ জুলাই (বুধবার) পর্যন্ত রাখা হয় একটি মাছের ঘেরে।

সেখান থেকে নৌকায় সীমান্ত পাড় করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আরেক দালাল বাচ্চুকে। এসব তথ্য দিয়েছে র‍্যাব গোয়েন্দারা। পাশাপাশি ফেরদৌস ও বাচ্চু ছাড়া সাহেদকে ৬ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত আত্মগোপনে যারা সহায়তা করেছে তাদেরও খুঁজছে র‍্যাব।

সাতক্ষীরার দেবহাটার লবঙ্গবতি খালে অভিযান চালিয়ে, বুধবার গ্রেফতার করা হয় রিজেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে।

সেখান থেকে ঢাকার র‍্যাব সদরদফতরে আনা পর্যন্ত বেশ কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এর মাধ্যমেই জানা গেছে সাহেদের আত্মগোপন নিয়ে নানা তথ্য।

র‍্যাব গোয়েন্দারা জানাচ্ছে, ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের রাতেই ঢাকা থেকে মহেশখালী গিয়ে আত্মগোপন সাহেদ। সেখান থেকে যান কুমিল্লায়। কুমিল্লা থেকে ঢাকা হয়ে গেছেন সাতক্ষীরায়। সেখানে স্থানীয় দালাল ফেরদৌসের সঙ্গে ভারত পালাতে চুক্তি হয় সাহেদের। আর এ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় বাচ্চু মাঝিকে।

সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে খোঁজ মেলা উত্তরার গোপন আস্তানাটি সাহেদ খুলেছিলেন চলতি মাসেই। আত্মগোপনে যাওয়ার দিনও সেখানে যান সাহেদ।

র‍্যাব জানায়, উত্তরার আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া জাল টাকা, পাওনা শোধে ব্যবহার করতেন সাহেদ। জাল নোট ফেরত দিতে এলে দেয়া হতো মামলার হুমকি।

সাহেদের অস্ত্র ও জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে র‍্যাব। এ নিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে ৬২টি মামলা দায়ের হলো।

কেএপি

আরও পড়ুন