বঙ্গবন্ধুর কিনে যাওয়া ৫ গ্যাসক্ষেত্রের জন্যই দেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের এক অনলাইন আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন বক্তরা। দেশ গড়তে অল্প সময়ের মধ্যেই সব খাতের জন্য বঙ্গবন্ধু দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন বলে জানান আলোচকরা। মুজিবর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতে, এ মাসেই ৪৬১ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
বঙ্গবন্ধু সংবিধানের ১৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই পেট্রলিয়াম ও সমুদ্র আইনসহ বেশকিছু আইন তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৯৭২-এ পেট্রোবাংলা প্রতিষ্ঠা করে দেশের খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন, পরিশোধন ও বাজারজাতকরণের সূচনা করেন। ১৯৭৫ সালে মাত্র সাড়ে ৪ লাখ পাউন্ডে শেল অয়েলের কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে মাত্র সাড়ে ৩ বছরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কুটিরশিল্প, কৃষি এবং জ্বালানিসহ সব খাতের জন্যই দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের অর্থনীতিতে যে গতি এসেছে তা বঙ্গবন্ধুর কিনে যাওয়া ৫ গ্যাসক্ষেত্রের কারণে।
জাতির জনকের জন্য সমাজ ও অর্থনীতিতে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে তা ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
মুজিববর্ষে নিরবচ্ছিন্ন ও গুণগত মান সম্পন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত এ মাসেই ৪৬১ উপজেলা এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ১০৫৯ গ্রামের আড়াই লাখ গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানান বিদ্যুৎ সচিব।
দেশকে সামনের এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সবার স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আরও জ্ঞান অর্জন ও গবেষণা করতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।