• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০, ১১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০, ১১:৩৪ পিএম

‘চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনওর ওপর হামলা’

‘চুরির উদ্দেশ্যে ইউএনওর ওপর হামলা’
র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার দুই আসামি ● জাগরণ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ‘মূল আসামি’ আসাদুল ইসলাম।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করছে, পরিকল্পিত চুরি করার টার্গেট নিয়ে ইউএনও'র বাসায় যান আসামিরা। তবে টের পেয়ে যাওয়ায় ইউএনও এবং তার বাবার ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় রঙ মিস্ত্রীর হাতুড়ি ব্যবহার করা হয়। দু'জন রঙ মিস্ত্রীও সেই অপারেশনে অংশ নেয়।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, এ ঘটনার মূল আসামি আসাদুল ইসলাম। সে দাবি করেছে- পরিকল্পিতভাবে চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই ইউএনও’র বাসায় তারা ঢুকেছিল। চুরির উদ্দেশে ওই হামলা হয়েছিল। তবে এটা তার নিজস্ব বক্তব্য। এটা নিছক চুরি নাকি অন্য কোনও ঘটনা এই প্রশ্নের সমাধান বা উপসংহারে পৌঁছতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। র‌্যাব ছায়া তদন্ত করছে। আগামীতেও করবে। তারা এই পর্যায়ে বলছে না এটা কেবলই চুরির ঘটনা।

ইউএনও'র সরকারি বাসভবনে ঢুকে নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে নামে। শুক্রবার পর্যন্ত এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন , ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও গোলাম মোস্তফার ছেলে মাসুদ রানা , রানীগঞ্জ কশিগাড়ী এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম , ইউএনও'র বাসার প্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ, চকবামনদিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার বাসিন্দা রঙমিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম ও রঙ মিস্ত্রী সান্টু চন্দ্র দাস। 

আটকৃতদের মধ্যে আসাদুল, নবীরুল ও সান্টু চন্দ্র দাসকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যাদের ছাড়া হয়েছে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় তাদের সন্দেহাতীত সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নেই। তবে ছেড়ে দেয়া হলেও তারা নজরদারির মধ্যেই থাকবে।

গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তার ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। উভয়েরই শরীর ও মাথায় আঘাত লেগেছে।

গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথমে তাদের রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তার বাবা রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কেএপি

আরও পড়ুন