শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে তিনটি চ্যানেলে নাব্যতা সংকটের কারণে দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে ঠেকে গেছে। যানবাহন ও দূরপাল্লার গাড়িতে বাড়তি ভাড়া গুনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে ঢাকা যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।
লৌহজং চ্যানেল, পদ্মা সেতু চ্যানেল ও শরীয়তপুরের পালেরচর চ্যানেলে নাব্যতা সংকট দীর্ঘদিন ধরে। প্রায় দুই মাস ধরে এসব চ্যানেলে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত থাকলেও কোনও সুফল মেলেনি।
নদীর উজানে শিবচরের চরজানাজাত কাঁঠালবাড়ী, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী চরমানাইর ইউনিয়ন ও লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে নদীভাঙন ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ কারণে পলি এসে তলদেশে ভরাট হয়ে চ্যানেল তিনটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুরখণ্ড ও চরচান্দ্রা এলাকায় নতুন একটি চ্যানেলের সন্ধান মিলেছে। দুই হাজার ফুট বালু উত্তোলন করা গেলে চ্যানেলটি চালু করা সম্ভব হবে। দু-একদিনের মধ্যে এই নতুন চ্যানেলে ড্রেজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন অফিসার আহম্মদ আলী জানান, ভরা বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত উজানে নদীভাঙন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে পলি এসে চ্যানেলে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এর কারণে বর্তমানে তিনটি চ্যানেলে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই মাস ধরে চ্যানেলগুলোতে খননকাজ অব্যাহত রেখেছিলাম। নদীভাঙনের ফলে কোনও সুফল আসেনি। বর্তমানে কাঁঠালবাড়ীর মাগুরখণ্ড ও চরচান্দ্রা নামে নতুন একটি চ্যানেলের সন্ধান পেয়েছি। দুই হাজার ফুট বালু উত্তোলন করলে চ্যানেলটি চালু করা সম্ভব হবে।’
কেএপি