• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম

ইউএনওর ওপর একাই হামলা চালায় রবিউল: পুলিশ

ইউএনওর ওপর একাই হামলা চালায় রবিউল: পুলিশ

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে সরকারি বাসভবনের বাগানের কাজে নিয়োজিত মালি রবিউল ইসলাম। বরখাস্তের জেরে ইউএনও ওয়াহিদার ওপর তিনি একাই হামলা চালান।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মালি রবিউল। সেখানেই তিনি এই তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকতা ইমাম জাফর।

ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকা টাকা চুরির অভিযোগে জানুয়ারিতে রবিউলকে বরখাস্ত করেন ইউএনও ওয়াহিদা। এ কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালান তিনি। আর এসময় তিনি একাই ছিলেন, সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না।

পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয় রবিউল। জেলা শহরে এসে একটি বাসে করে রওনা দেয় ঘোড়াঘাটের উদ্দেশেঅ সে যখন ঘোড়াঘাটে পৌঁছে তখন রাত প্রায় ১০টা। বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে রাত ১টা ১৮ মিনিটে ইউএনওর বাড়িতে পাচিল টপকে প্রবেশ করে রবিউল। এরপর সে চেয়ার নিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে রবিউল মই বেয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ইউএনওর বাথরুমে প্রবেশ করে। কিন্তু বাথরুমের দরজা বাইরে থেকে আটকানো থাকায় সে তখনই ইউএনওর বেডরুমে প্রবেশ করতে পারে না। প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সে বাথরুমের সিটকিনি খুলে বেডরুমে প্রবেশ করে। এ সময় ইউএনও শব্দ পেয়ে জেগে যান। তখন তার মাথাসহ শরীরে পেছন থেকে হাতুড়ি দিয়ে পরপর কয়েকটি আঘাত করে রবিউল।

গোয়েন্দাদের ধারণা, বরখাস্তের জেরে ২ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্রে হত্যার চেষ্টা করে রবিউল। ১২ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের বিজোড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রথম দফায় ৬ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হননি রবিউল। সেদিনই আবারও তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর রবিউলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

তবে রবিউলের স্বজনদের দাবি, নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নিয়ে হামলার দায় চাপানো হয়েছে তার ওপর।

মাথায় হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা এবং তার বাবা এখন ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কেএপি