বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সিলেট হয়ে ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে উপকূলীয় নদী বন্দরে স্বভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজারের রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে ৩ শতাধিক পর্যটক। এছাড়াও বরগুনায় পৌর এলাকায় বৃষ্টিতে বেশকিছু স্থানে জলাবদ্ধতা রয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ক্ষতি হয়েছে আগাম শীতের সবজির।
সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
রোববার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। পরবর্তী তিনদিনে আবহাওয়ার আরো উন্নতি হতে পারে।
জাগরণ/এমআর