বাঙালির জাতীয়তাবাদের সাথে যে মানুষটির নাম বারবার উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শনিবার তাঁর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৩ সালে এই দিনে লেবাননের বৈরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের সাথে আন্দোলন করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। ১৯৫৬ সালে এই নেতার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান তৈরি হয়। ১৯৫২ সালের পর বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল তাঁর হাত ধরেই।
মহান এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, “সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।”
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, “উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।”
শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।