• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২০, ০৮:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০২০, ১০:৪৫ এএম

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত

চলছে অগ্রাহায়ণের শেষ সময়। বাংলা ঋতু অনুযায়ী শীতকাল আসতে এখনো কিছুদিন বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার দিনমজুর, ছিন্নমূল মানুষ ও শিশুরা।

হিমালয়ের নিকটবর্তী এ জেলায় সকাল ও রাতে টুপটাপ শব্দে ঝরছে শিশির। সূর্যের দেখা মিলছে আগের তুলনায় অনেক কম। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে ধানের শীষ ও মাকড়সার জালে জমাট বাঁধা শিশির বিন্দুই জানান দিচ্ছে শীতের আগমণ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, কৃষক থেকে শ্রমজীবী শীতের তীব্রতায় জুবুথুবু সবাই।
 

জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষগুলো যে যার সাধ্য অনুযায়ী নিজেকে জড়িয়ে নিচ্ছেন গরম কাপড়ে। অনেক অসহায়ের তাও নেই। তাই এই শীতের মধ্যে হালকা কাপড় পরেই বেরিয়ে পড়ছেন কাজের খোঁজে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
 

জেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিপাড়া গ্রামের মোস্তফা জানান, এখনো পুরোপুরি শীত আসেনি। কিন্তু এরই মধ্যে প্রচুর ঠাণ্ডা পড়ছে। কৃষিকাজ আর গবাদি পশু পালন করে তার সংসার চলে। কিন্তু এই ঠাণ্ডার জন্য কাজ করতে যেতে পারছেন না। আবার কাজ না করলে সংসারও চলবে না। তাই শীতের মধ্যেই মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, এই ইউনিয়নে অনেক চরাঞ্চল রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে অনেক কুয়াশা আর ঠাণ্ডা পড়ছে। যার কারণে এখানকার দিনমজুর-খেটে খাওয়া মানুষরা অনেক কষ্টে আছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, শীতে প্রচুর শাক-সবজি হয়। ধারাবাহিকভাবে যদি এক দুই সপ্তাহ তাপমাত্রা ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে তাহলে আলু গাছের পাতায় এক ধরনের ক্ষতিকর ছত্রাক আক্রমণ করে। যা আলুর উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ আরো বাড়বে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শৈত্য প্রবাহও শুরু হতে পারে।