• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২০, ০২:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০২০, ০২:২৯ পিএম

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ

মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতি স্মরণ করল বাঙালির বীর সন্তানদের। দিবসটি উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে।  

দিনের শুরুতে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনী। 

এরপর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের জনসাধারণের ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। 

রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতির বীর শহীদদের প্রতি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের শপথ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা, সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার করেছে, তা সমূলে উৎপাটিত করা। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শে কোনো আপস করব না।’

সকাল ১০টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাক্‌স্বাধীনতা নেই, মৌলিক স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। আজকে আমরা বিজয় দিবসে সে জন্য শপথ গ্রহণ করেছি, স্মৃতিসৌধে আমাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, অবশ্যই এ দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।’

এদিন বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিতে হবে। 

বিজয় দিবস নির্বিঘ্নে পালন করার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক শ সামরিক ও বেসামরিক নিরাপত্তাকর্মী।

এবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেই জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহার করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কোনো অবস্থাতেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। 

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এবারের মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সীমিত আকারে জনসাধারণের প্রবেশ খোলে দেওয়া হয় বীর শহীদদের রক্তে গাঁথা স্মৃতিস্তম্ভ।