• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২১, ১১:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১, ২০২১, ১২:০২ পিএম

কমেনি চালের দাম, বেড়েছে মুরগির

কমেনি চালের দাম, বেড়েছে মুরগির

গেল সপ্তাহের মতোই রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। তবে কয়েক সপ্তাহ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার পর অবশেষে থেমেছে চালের এ ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কমেনি দাম। অন্যদিকে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে বেড়েছে মুরগির দাম।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকা, মোটা স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা এবং মোটা আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।

তারা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ চালের দাম বাড়ার পর এখন ওই দামই আছে। দাম বাড়ছেও না, কমছেও না। মিল থেকেই তাদের এই বাড়তি দামে চাল কিনে আনতে হয়।

ক্রেতারা জানান, চাল এমন একটা জিনিস যা দাম বাড়লেও কিনতে হয়। কিন্তু নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের এ দামে চাল কিনতে খুবই হিমশিম খেতে হয়। সরকারের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া এবং দ্রুত দাম কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।

অন্যদিকে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে বেড়েছে মুরগির দাম। বাজারে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে এই মুরগির দাম ছিল ১২০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করা লেয়ার আজ বিক্রি করা হচ্ছে ১৯০ টাকা। সোনালী মুরগির দাম আগের মতোই ২২০ টাকা রয়েছে। প্রতি পিস হাঁস বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, রাজহাঁস ৩০০০ টাকা এবং কবুতর ১২০ টাকা।

বিক্রেতাদের দাবি, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে চাহিদ অনেক বেড়েছে। তাই দাম একটু বেশি। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বছরের শেষ দিন বয়লার মুরগির দাম ১৬০ পর্যন্ত উঠেছে। তারপরও ক্রেতার সংকট ছিল না। আরো কয়েকদিন হয়তো এমন বাড়তি দাম থাকবে।

তবে দাম বাড়েনি ডিমের। প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৫৫০ টাকা।

আলু ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, আমদানি করা চীনা পেঁয়াজ ৩০ টাকা, পাকিস্তানি ৪৫ টাকা। দেশি আদা বিক্রি করা হচ্ছে ৮০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান রসুন ১০০ টাকা।

এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। বিক্রেতারা জানান, প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ব্রকলি ৩০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, মূলা ১০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শালগম ১৫ টাকা, লতি ২৫ টাকা, শসা ৪০ টাকা, শিমের বিচি ১২০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা।

অন্যদিকে পুষ্টি ব্র্যান্ডের ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০ টাকা, তীর ৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৫৮০ টাকা, সেনা ৫৪০ টাকা ও বসুন্ধরা ৫৫০ টাকা।