• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৮:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৮:২৪ এএম

শব্দসৈনিক উপেন তরফদারের প্রয়াণ দিবস আজ

শব্দসৈনিক উপেন তরফদারের প্রয়াণ দিবস আজ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ও আকাশবাণীর অন্যতম শব্দসৈনিক উপেন তরফদার চলে যাওয়ার এক বছর আজ। গত বছর ১৪ জানুয়ারি ভারতীয় সময় রাত ৮টার দিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন উপেন তরফদার।

১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার নালি গ্রামে জন্ম উপেন তরফদারের। ১২ বছর বয়সে তিনি চলে যান কলকাতায়। উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার বাসিন্দা হন তিনি। পড়াশোনাও করেছেন কলকাতাতেই। ১৯৫৪ সালে তিনি যোগ দেন আকাশবাণীতে। দীর্ঘ ৪০ বছর কাজ করেছেন আকাশবাণী ও দূরদর্শনে। পেশাগত জীবনের শেষ দিকে কিছুকাল কলকাতা দূরদর্শনে কাটিয়ে ১৯৯৪-এ অবসর নেন উপেন তরফদার। 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আকাশবাণীর ‘সংবাদ বিচিত্রা’ বিভাগের প্রযোজক ছিলেন উপেন তরফদার। মুক্তিযুদ্ধের খবর আকাশবাণীতে প্রচার করে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। অসামান্য সাহসী উপেন তরফদার মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহে অসংখ্যবার ছুটে গিয়েছেন রণাঙ্গনে। মুজিবনগরে বাংলাদেশের সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, যশোর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনও উপস্থিত থেকে খবর সংগ্রহ করেছেন তিনি। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি

আকাশবাণীতে প্রচারের ক্ষেত্রে তিনি প্রধানতম ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা, বিখ্যাত সব মানুষের সাক্ষাৎকার শ্রোতাদের কাছে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। এসব অনুষ্ঠান অনুপ্রাণিত করত মুক্তিযোদ্ধাদেরও। একই সময়ে বাংলাদেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক আবেদ খানের ‘জবাব চাই’ নামক অনুষ্ঠানটি আকাশবাণী থেকে প্রচারিত হতো নিয়মিতভাবে। উপেন তরফদার, দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রণবেশ সেন ‘জবাব চাই’ অনুষ্ঠানটি প্রচারের ক্ষেত্রে আবেদ খানকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করতেন।

উপেন তরফদারের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ‘একাত্তরের উত্তাল দিনগুলি’ ও ‘বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ’ গ্রন্থ দুটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য সংযোজন বলে সুধী মহলে বিবেচিত।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার উপেন তরফদারকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করে।

প্রয়াণদিবসে দৈনিক জাগরণ তাকে স্মরণ করছে বিনম্র শ্রদ্ধায়।