• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম

‘সিনেমা হল নির্মাণে তহবিল হচ্ছে’

‘সিনেমা হল নির্মাণে তহবিল হচ্ছে’

সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল নির্মাণের জন্য তহবিল গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হল নির্মাণ হবে। এর জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে সরকার।”

রোবাবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ বিতরণী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।  এ সময় তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের অভিনন্দন জানান।

শিল্পীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশীয় চলচ্চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। দেশীয় চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নির্মাণ করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।”

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসভিত্তিক ও শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে তাগিদও দেন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৬টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করে জুরি বোর্ড। এর সাথে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা এ বছর আজীবন সম্মাননায় অভিষিক্ত হয়েছেন।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-

আজীবন সম্মাননা (যুগ্ম): বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) এবং অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম) : ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়।

শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : নারী জীবন।

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : যা ছিলো অন্ধকারে।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : এম ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : নারগিস আক্তার (হোসনে আরা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : জাহিদ হাসান (সাপলুডু)।

শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী (যুগ্ম) : নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।

শ্রেষ্ঠ গায়ক : মৃনাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো...) (শাটল ট্রেন)।

শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যুগ্ম) : মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে...) (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয-যাহরা ঐশী (মায়া, মায়া রে...) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ গীতিকার (যুগ্ম) : নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার...) (কালো মেঘের ভেলা) ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী) (চল হে বন্ধু চল...) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ সুরকার (যুগ্ম) : প্লাবন কোরেশী (আব্দুল কাদির) (বাড়ির ওই পূর্বধারে...) ও সৈয়দ মো. তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল...) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : মাসুদ পথিক (মাসুদ রানা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : জুনায়েদ আহমদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক (যুগ্ম) : মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাসু ও মো. ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা : খোন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়) 

শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

১৯৭৬ সালের ৪ এপ্রিল প্রথম চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রথম চালু করা হয় আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।