• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০৮:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০৮:৩৩ পিএম

স্বর্ণ ছিনতাই মামলা

মাদকের গাড়িচালকের স্বীকারোক্তি

মাদকের গাড়িচালকের স্বীকারোক্তি

রাজধানীর পুরোনো ঢাকার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীর ৯০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার দোষ স্বীকার করে  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সাথে মামলার অপর দুই আসামি এমদাদুল ও আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহনগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ।  এসময় আসামি ইব্রাহিম শিকদার স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি এমদাদুল ও আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে একই মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এসএম সাকিব হোসেন, সোর্স হারুন ও সিপাহী আমিনুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৮ জানুয়ারি জীবন পাল ও রতন কুমার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি বাদীকে তুলে নিয়ে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এ অভিযোগে ১২ জানুয়ারি পুরোনো ঢাকার জিন্দাবাহার লেনের এক ব্যবসায়ী কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রথমে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির দুই কর্মচারীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেনের নাম জানালে সিপাহী আমিনুল ও সোর্স হারুনসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর পাঁচ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে।

জানা যায়, সহকারী পরিচালক সাকিব হোসেন মুন্সিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তবে মাসখানেক ধরে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।