• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২১, ০৯:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২১, ০৯:৪৪ এএম

মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা

দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান দেখছিল না বাংলাদেশ। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী ছিল না। তবে বাংলাদেশ, চীন এবং মিয়ানমার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গােদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে একমত হওয়ার পরেই যেন আরেকটি কূটনৈতিক বিজয় দেখতে চলেছে বাংলাদেশ। ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে এ তথ্য জানায়।

খবরে জানায়, চলতি বছর জুনে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন কিছুদিন আগে একটি ভিডিও কনফারেন্সে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী উ-হাউ-দো-সুয়ান এবং চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু-ঝাউহুই এর সঙ্গে কথা বলেন।

ত্রিপাক্ষিক আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া মার্চেই শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মিয়ানমার জানিয়েছে, তাদের প্রস্তুতির জন্য কিছু সময় দরকার। সাক্ষাৎ শেষে মনে হয়েছে, আমরা জুন নাগাদ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো।”

নিউইয়র্কে এক ত্রিপাক্ষিক সভায় চীন এই সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয়, যার ধারাবাহিকতায় উক্ত ত্রিপাক্ষিক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সাক্ষাৎতে রাখাইনে গিয়ে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন পূর্ববর্তী অবস্থা পর্যালোচনার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাবকে চীন এবং মিয়ানমার স্বাগত জানালেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি দেশ দুটি।

দশকের পর দশক ধরে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এখন প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার কারণে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করে। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে চাইলেও নিতে চায়নি মিয়ানমার। ফলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি।

গত তিন বছরে বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু। এই ব্যাপারে পররাষ্ট্র সচিব একে আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হবে। আমাদের দ্রুততম সময়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।”