• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২১, ১১:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২১, ১২:১৪ পিএম

সবজিতে স্বস্তি, কমেনি চালের দাম

সবজিতে স্বস্তি, কমেনি চালের দাম

শীতের সবজিতে ভরপুর রাজধানীর কাঁচাবাজার। তাই স্বস্তি আছে দাম নিয়েও। বাজার থেকে সবজি কিনে ক্রেতারাও ফিরছেন হাসিমুখে। তবে এই হাসিমুখ চালের বাজারে গিয়েই মলিন হয়ে যায় ক্রেতাদের। কারণ গত কয়েক সপ্তাহের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন প্রায় সব ধরনের সবজিরই সরবরাহ আছে ব্যাপক পরিমাণে। সকালে কুয়াশার প্রকোপ থাকার পরও সাপ্তাহিক বাজার করতে ভিড় করেছেন ক্রেতারাও।

সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়া ২০ টাকা, ব্রকলি ২০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৫০ টাকা।

এ ছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, বেগুন ১৫ থেকে ৩০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, শালগম ১০ টাকা, খিরা ২৫ টাকা, মটরশুঁটি ৫০ টাকা, শিমের বিচি ১৪০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ১৫ টাকা ও লতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরো কিছুটা ঝাল কমেছে কাঁচা মরিচের। মান ও প্রকারভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়া লাউশাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, লালশাক ৫ টাকা, পালংশাক ৫ টাকা, ধনিয়া ৫ টাকা, পুঁই ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারে নতুন আলুর সরবরাহ আরো বড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ২০ টাকা ও পুরোনো আলু ২৫ টাকা। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, মিসরের পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি আদা ৭০ টাকা, চীনা আদা ১৬০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।

বাজার নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, সব ধরনের সবজির দামই হাতের নাগালে। সব আয়ের মানুষের জন্য বাজার দর নাগালে রাখা জরুরি। সরকার নিয়মিত তদারকি করলে আগামীতেও এই দামেই শীতের সবজি কেনা যাবে।

অন্যদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৯ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৫২ থেকে ৬৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা ও আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

চালের এমন ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আনিসুর নামের এক ক্রেতা বলেন, ‍“যে চাল এক মাস আগেও কিনেছি (৫০ কেজির বস্তা) ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, সেই চাল আজ কিনলাম ২ হাজার ৯৫০ টাকায়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য এটা খুবই কষ্টসাধ্য। সরকারের বিষয়টি দ্রুত দেখা দরকার।”

শাজাহান নামের এক পাইকারি চাল বিক্রেতা বলেন, “মিলাররা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। সেখান থেকে দাম না কমালে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার বাইরে থেকে চাল আমদানি করলেই দাম কমে যাবে।”

এদিকে হাঁসের ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি হালি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। তবে মুরগির ডিম আগের মতোই ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, লেয়ার ১৭০ টাকা, বিক্রি করা হচ্ছে। হাঁসের পিছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং কবুতর ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।