কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবিধি লঙ্ঘন করে এক বন্দির সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনায় ডেপুটি জেলারসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূইয়া তাদের প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।
৬ জানুয়ারি কারাগারের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনের (সিসিটিভি) ক্যামেরায় এ চিত্র ধরা পড়ে। করোনাকালীন কারাগারের বন্দিদের সঙ্গে কোনো দর্শনার্থীর সাক্ষাৎও নিষিদ্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় কারাগারের ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ওই ফুটেজে দেখা গেছে, ৬ জানুয়ারি কারাগারের কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় হলমার্কের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ ঘোরাফেরা করছেন। কিছুক্ষণ পরই বাইরে থেকে এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। তার পরনে ছিল বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন এ সময় কারাগারে ছিলেন। ওই নারী দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে দুজন যুবক ছিল। তাকে সেখানে রিসিভ করেন ডেপুটি জেলার সাকলাইন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান সাকলাইন। এর আনুমানিক ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দী তুষার আহমদকে সেখানে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
গাজীপুরের এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, “অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে ওই ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমটির অপর সদস্যরা হলেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।”
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কারা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তার সঙ্গে উপ-সচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলা যাবে।
তিনি আরো বলেন, “প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদেরও সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। দোষী সবাই শাস্তি পাবেন।”