• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৯:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৯:৫৫ পিএম

যতীন্দ্রমোহনের বাড়ি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন

যতীন্দ্রমোহনের বাড়ি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন

অবশেষে দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পেল ব্রিটিশবিরোধী নেতা যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের বাড়ি। চট্টগ্রামের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাড়িটি দখলমুক্ত করেন।

ঐতিহাসিক ভবনটির সামনের ভেঙে ফেলা অংশের সামনে একটি সাইনবোর্ডও রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এ পদক্ষেপের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রানা দাশগুপ্তসহ বাড়ি রক্ষার দাবিতে আন্দোলনরতরা।

এর আগে ৪ জানুয়ারি এম ফরিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ওই জমি যাত্রামোহনের এক স্বজনের কাছ থেকে কেনার দাবি করে আদালতের একটি আদেশ নিয়ে বাড়িটি ভাঙতে যান। সেসময় স্থানীয়দের নিয়ে তার এই তৎপরতা ঠেকিয়ে দেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। ওই দিন বাকলিয়া অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাড়িটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা যাত্রামোহন সেনগুপ্ত চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে বাড়িটি নির্মাণ করেন। তার সন্তান বিখ্যাত আইনজীবী ও কলকাতার মেয়র যতীন্দ্রমোহন। স্ত্রী নেলী সেনগুপ্তকে নিয়ে কিছুদিন এ বাড়িতে ছিলেন যতীন্দ্রমোহন।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবীরাও এই বাড়ির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, শরৎবসু, মোহাম্মদ আলী, শওকত আলীসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময় এই বাড়িতে এসেছিলেন। এ বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নানা স্মৃতি। সূর্য সেন, অনন্ত সিংহ, অম্বিকা চক্রবর্তীর হয়ে মামলা লড়েছিলেন যতীন্দ্রমোহন। এতে ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়ে ১৯৩৩ সালে কারাগারে মৃত্যু হয়েছিল যতীন্দ্রমোহনের। এরপর নেলী সেনগুপ্তা দীর্ঘদিন বাড়িটিতে ছিলেন। 

পরবর্তীতে মো. ইসহাক নামের এক ব্যক্তি ১৯ গন্ডার বাড়িটি লিজ নিয়ে ‘বাংলা কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করে। পরে এর নাম বদল করে রাখা হয় শিশুবাগ স্কুল। ইসহাকের সন্তানরা স্কুলটি পরিচালনা করছিলেন।