• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম

যেভাবে গ্রেপ্তার হলো হামিদুলের খুনিরা

যেভাবে গ্রেপ্তার হলো হামিদুলের খুনিরা

ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামের খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ হারান এই জাসদ নেতা।

শনিবার রাতে হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন ঈদগাহের সামনের সড়কে ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দেখে ফেলেন এক হিজড়া। সেই সূত্র ধরেই হত্যা রহস্য উদঘাটন ও ছিনতাই ও হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।

পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারী দলের দলনেতার নাম অ্যারাবিয়ান সোহেল। তার জন্ম সৌদি আরবে। শনিবার  ছিনতাইকারীরা যখন হামিদুল ইসলামের মানিব্যাগ ও ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তখন তিনি সোহেলকে জাপটে ধরেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সোহেলের নির্দেশে হামিদুলের হাতে কোপ মারে জাহিদ নামে একজন। এরপর সোহেল আরো তিনটি কোপ মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হামিদুল।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, অ্যারাবিয়ান সোহেল এই চক্রের মূল হোতা। অন্য সদস্যরা হলো— শাকিল ওরফে ডুম্বাস, জাহিদ হোসেন ও শুক্কুর আলী সদস্য। 

হাফিজ আক্তার আরো জানান, তাদের কারো বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচটি থেকে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। এসব মামলাতে তারা জামিনে রয়েছে। 

ঘটনার রাতেই ছায়া তদন্তে নামে পুলিশ। এসময় তারা ওই প্রত্যক্ষদর্শী সন্ধান পান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ছিনতাইকারী দলের একজন হাতকাটা রিকশা চালক ছিল। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। তারপর শাকিলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় অপর চারজনকে।