• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ১২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৩:৪৩ পিএম

‘ঈদের মতো আনন্দঘন পরিবেশে টিকা নেওয়া হচ্ছে’

ঈদের মতো আনন্দঘন পরিবেশে টিকা নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ‘কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি’ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সকল জল্পনা-কল্পনা দূর করে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এখানে যে পরিবেশে টিকাদান করা হচ্ছে, তা দেখে মনে হলো যে যেন ঈদের ভাব। ঈদের মতো আনন্দঘন পরিবেশে টিকা নেওয়া হচ্ছে।”

জাহিদ মালেক আরো বলেন, “গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছেন। আমরা খুবই আনন্দিত। উনি ভ্যাকসিন হিরো। বাংলাদেশের ভ্যাকসিন কার্যক্রম উনিই শুরু করেছেন। এতে দেশবাসী সকলেই আনন্দিত।”

এ সময় সুষ্ঠুভাবে টিকা নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “টিকা নেওয়ার জন্য যা যা করণীয়— যেমন নিবন্ধন করে সকলে টিকা নিবেন। কেউ যদি নিবন্ধন করতে না পারেন তারা স্ব স্ব টিকা কেন্দ্রে এসে নিবন্ধন করে টিকা নিবেন।”

টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “এ টিকা মানুষের জীবন রক্ষার জন্য, দেশের মানুষের উপকারের জন্য। কাজেই যারা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবেন, তারা ভালো কাজটি করছেন না, দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করছেন না।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “বিশ্বজুড়ে অনেকগুলো টিকা আবিষ্কার হয়েছে। তার মধ্যে অ্যাস্ট্রজেনেকা-অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত টিকাটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে। তারপরও যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তার জন্য চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

এদিন সকালে বিএসএমএমইউতে দিনের প্রথম টিকা নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া। এরপর একে একে নার্স, চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানসহ অনেকে টিকা নেন। বিএসএমএমইউতে বৃহস্পতিবার ২১০ জনকে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে।

প্রথম মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউতে টিকা নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান এখান থেকে টিকা নিয়েছেন।

বিএসএমএমইউ ছাড়াও রাজধানীর আরো চারটি হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। হাসপাতালগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল।

আরও পড়ুন