• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৮:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৮:৩৬ পিএম

অর্থ আত্মসাৎ মামলা

ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৭ জনের কারাদণ্ড

ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৭ জনের কারাদণ্ড

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ (ডিএমডি) ৭ জনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর এক ধারায় আরও ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং  ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  আসামীদের এ সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাদের ৫ বছরের কারাভোগ করতে হবে জানান বিচারক। এছাড়া আত্মসাৎকৃত এক কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ইমামুল হক, এস ভিপি শাহ মো. হারুন, এস এ ভিপি আবুল কাশেম মাহমুদ উল্লাহ, এ ভিপি ফজলুর রহমান, ই ও তারিকুল আলম, এস ই ভিপি মাহমুদ হোসেন ও ইভিপি কামরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা ইমামুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলার অপর ৬ আসামী পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে আসামীরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।  যা ২০১০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুদে আসলে এক কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩২ টাকা। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।  ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত অভিযোগপত্রভুক্ত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭  জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।