• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২১, ০২:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২১, ০২:৪০ পিএম

শিশুসাহিত্যিক খন্দকার মাহমুদুল হাসান আর নেই

শিশুসাহিত্যিক খন্দকার মাহমুদুল হাসান আর নেই

চলে গেলেন শিশুসাহিত্যিক ও গবেষক খন্দকার মাহমুদুল হাসান। 

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহমুদুল হাসানের বাবা খন্দকার আজমল হক দৈনিক জাগরণকে জানান, ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে কিছুদিন ধরে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে মাহমুদুল হাসান চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৫ জানুয়ারি তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

১৯৫৯ সালের ২৫ আগস্ট রংপুর শহরে খন্দকার মাহমুদুল হাসানের জন্ম। তিনি কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

খন্দকার মাহমুদুল হাসান সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ দুই বাংলার বিরাট এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে তিনি ইতিহাস ও পুরাকীর্তিবিষয়ক গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশিত শিশু বিশ্বকোষ রচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেন।

তার বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। লিখেছেন ইতিহাসবিষয়ক ২৬টি বই, ২২টি কিশোর উপন্যাস ও ৩১টি গল্পের বই। তালিকায় আছে দুই খণ্ডের ’বাংলাদেশের পুরাকীর্তি কোষ, দুই খণ্ডের ‘প্রথম বাংলাদেশ কোষ’, বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেপথ্য-কাহিনী, ঢাকা অভিধান, চলচ্চিত্র, সিনেমা থেকে চিত্রালী, প্রাচীন বাংলার আশ্চর্য কীর্তি, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র, হিব্রু থেকে ইহুদি, বাংলাসাহিত্যে মুসলিম অবদান, যেমন করে মানুষ এলো, ইতিহাসের সেরা গল্প প্রভৃতি।

খন্দকার মাহমুদুল হাসান দুবার পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার। তার ঝুলিতে আছে বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক স্বীকৃতি।