• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৯:৩৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ১০:৩১ এএম

বাংলাদেশ ব্যাংক

লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা

লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা

ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই নীতিমালা জারি করা হয়।

করোনা মহামারির মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি বিবেচনা করে লভ্যাংশ দেওয়ার এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নীতিমালায় বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যাতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে, সে উদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা যথাসম্ভব অবণ্টিত রেখে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গত বছরের ১১ মে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। যা শুধু ২০১৯ সালের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বর্তমানে দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে করোনামুক্ত রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত বিভিন্ন আর্থিক ও নীতি সহায়তামূলক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে এনে জাতীয় অগ্রগতিকে করোনা সংক্রমণের পূর্ববর্তী ধারায় উপনীত করার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে আসন্ন বছরগুলোতে ব্যাংকগুলোর মূলধন কাঠামো অধিকতর সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।

এ উদ্দেশ্যে ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে শেয়ারের বিপরীতে ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) প্রদানের ক্ষেত্রে এখন হতে এই নীতিমালা অনুসরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হলোঃ

প্রভিশন সংরক্ষণসহ অনান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতিপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারের সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যেসব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

  • প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যেসব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হতে অনূর্ধ্ব ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সেসব ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ।
  • প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতোপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোনো ধরনের ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যেসব ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সেসব ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
  • প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা ইতোপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যেসব ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫% বা তার বেশি হয় সে সকল ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, সর্বোচ্চ ৬.০% নগদসহ মোট ১২% লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
  • প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা ইতোপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যে সকল ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.৮৭৫% হতে অনূর্ধ্ব ১২.৫% হয় সে সকল ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, সর্বোচ্চ ৫% নগদসহ মোট ১০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
  • প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে বিবেচ্য পঞ্জিকাবষের্র জন্য গৃহীত বা ইতোপূর্বে গৃহীত ডেফারেল সুবিধা বাদে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সে সকল ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ অন্যূন ১০.৬২৫% হতে অনূর্ধ্ব ১১.৮৭৫% হয় সে সকল ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে, সর্বোচ্চ ৫% স্টক ডিভিডেন্ড (বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্র হতে সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।