• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৬:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৮:৩২ পিএম

সংগীত শিল্পী নিখু আচার্য্যের প্রয়াণ

সংগীত শিল্পী নিখু আচার্য্যের প্রয়াণ

বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সংগীত শিক্ষক নিখু আচার্য্য আর নেই। গত ২৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোর ৪টার দিকে নরসিংদীর মাধবদীর আনন্দী গাঙপাড়ের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে এই শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন তাঁর ছোট বোন অলকা রানী আচার্য্য।

ব্যক্তিজীবনে নিখু আচার্য্য পল্লী উদ্যোগ কেন্দ্রের সংগীত শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত এই শিল্পী নজরুল সংগীতের পাশাপাশি পল্লীগীতিতে আশি ও নব্বই দশকে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তবে নজরুল ও লোকসংগীতের পাশাপাশি অন্য সকল ধরনের গানও করতেন তিনি। সেসময় পরিবেশিত তাঁর গান মানুষের হৃদয়ে এখনো স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনায় আদ্যশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান নিখু আচার্য্যের ভাগ্নে অসীম আচার্য্য।

শিল্পীর আরেক ভাগ্নে তরুণ সংগীত শিল্পী অমিত হিমেল বলেন, “মামা আমার অন্যতম সংগীত শিক্ষাগুরু। তিনি এমন আকস্মিকভাবে চলে যাবেন তা কল্পনাতেও আসেনি। আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সমস্বর’ থেকে ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে একবার অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিন অন্য এক ফেসবুক লাইভে বেশ কিছু মন্তব্য লিখেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাও হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যুর সংবাদ আসে! এ যেন কঠিনের চেয়েও কঠিনতম সত্য, যা মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন। এ ব্যথা কখনো ভোলার নয়।”

হিমেল আরো বলেন, “মামার শেখানো সংগীত পরিবেশন করে ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক জায়গায় বেশ প্রশংসিত হয়েছি। আমাদের সংগঠন ‘সমস্বর’ও প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন সময় তাঁর শিক্ষার্থীরা নানা জায়গায় সুনাম অর্জন করেছেন এবং বিশেষ পুরস্কার লাভ করেছেন। মামার প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।”

শিল্পী নিখু আচার্য্যের আদি বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার হোসেন্দী গ্রামে। অখিল আচার্য্যের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। তাঁর দাদা অবিনাশ আচার্য্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। দুই বোন অনিমা আচার্য্য ও অনিতা ভট্টাচার্য ভারতের আসামের স্থায়ী বাসিন্দা। ছোট বোন অলকা রানী আচার্য্য থাকেন ঢাকায়। 

মৃত্যুকালে নিখু আচার্য্যের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী পার্বতী আচার্য্য, বড় মেয়ে তিথি চক্রবর্তী ও ছোট মেয়ে অদিতি আচার্য্য ইতি-সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।