• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ১১:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ১১:২১ এএম

স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন সিনেমা হল মালিকরা

স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন সিনেমা হল মালিকরা

করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি ‘বিশেষ’ পুনঃ-অর্থায়ন তহবিল গঠন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলচ্চিত্র শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্দেশ্যে সিনেমা হল মালিকদের স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।

গ্রাহক পর্যায়ে এই তহবিলের ঋণের সুদের হার হবে মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ। আর মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এই বিশেষ তহবিলের নীতিমালা ঘোষণা করেছে। গত ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও মেশিনারি/যন্ত্রাংশ/প্রযুক্তি ক্রয় এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্দেশ্যে তফসিলি ব্যাংকের অর্থায়নের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃ-অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করবে। এ নীতিমালার অন্যান্য শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে বিদ্যমান সিনেমা হলসহ নতুনভাবে নির্মিতব্য সিনেমা হলসমূহও এই পুনঃ-অর্থায়ন তহবিলের আওতায় ঋণ সুবিধা পাবে।

তবে, চলতি মূলধন বাবদ কোনরূপ ব্যয় পুনঃ-অর্থায়ন সুবিধার আওতায় আসবে না। এছাড়া এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ দ্বারা কোনভাবেই অন্য কোন ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না।

তহবিলের উৎস ও পরিমাণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। তহবিলের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা। প্রথম ধাপে ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। প্রথম ধাপে বিতরণকৃত ঋণ সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবার পর দ্বিতীয় ধাপে ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।

ঋণসীমা

একটি সিনেমা হলের বিপরীতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকার বেশি হবে না।

সুদের হার

এ তহবিলের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে পুনঃ-অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে  সু ব্যাংক অর্থায়ন করবে।

ঋণের মেয়াদ

এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সমমাসিক/ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সর্বোচ্চ আট বছরে (১ বছর+৭ বছর) ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এই ঋণ সুবিধা পেতে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে।